সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:০৮

শিরোনাম :
প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ভোলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে মা ইলিশ নিধনের ধুম

ভোলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে মা ইলিশ নিধনের ধুম

dynamic-sidebar

আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা ॥ দ্বীপ জেলা ভোলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর জেলেরা প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। অসাদু জেলেরা অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকার করছে।

অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে নিয়মিত অভিযান। প্রতিদিনই আটক হচ্ছে জাল, জেলে ও মাছ। এরপরও অতি মুনাফালোভী জেলেরা নির্বিচারে ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে। এতে সরকারের জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষার পদক্ষেপ ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল।

সূত্রমতে, আশ্বিনের পূর্ণিমার আগের ৪ দিন ও পরের ১৮দিনসহ মোট ২২দিন মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ লক্ষে ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিধনে সরকার নিষেধজ্ঞা জারি করে। আইনানুযায়ী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত, কেনাবেচা ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সরেজমিনে মেঘনা নদীর তীর ঘুরে জানা ও দেখা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টা ও সোয়া ১২ টার দিকে ইলিশার সোনা ডগি, ভাংতির খাল ও জোর খাল এলাকায় প্রায় ১৫টিরও বেশি নৌকায় কারেন্ট জাল দিয়ে মা ইলিশ শিকার করছে।

অভিযানের ট্রলার দেখামাত্র পালিয়ে নদীর পাশের নালায় নৌকা ডুবিয়ে জেলেরা পালিয়ে যায়। পরে আবার প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে পুনরায় মাছ শিকার শুরু করে। সোনা ডগি, ভাংতির খাল ও জোর খাল গ্রামের জেলেরা প্রায় ৫০টি নৌকা দিয়ে কারেন্ট জাল ফেলে দেদারছে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার এ ২২ দিন ইলিশ শিকারের জন্য ওইসব এলাকার মৌসুমি জেলেরা একাধিক কারেন্ট জাল ও নৌকা পূর্বেই মজুদ করে রেখেছে, যাতে প্রশাসনের হাতে জাল ও নৌকা ধরা পড়লেও পুনরায় আবার নদীতে মাছ শিকার করতে পারে।

সরকারি তালিকাভুক্ত জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানলেও মৌসুমি জেলেরা নদী থেকে ইলিশ ধরে গ্রামে গ্রামে গোপনে বিক্রি করে যাচ্ছে। ফলে তালিকাভুক্ত জেলে পরিবারগুলোর দিন কাটে খেয়ে না খেয়ে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, অর্থের মাধ্যমে ম্যানেজ করে অভিযান পরিচালনায় যেসব কর্মচারিদের সাথে রাখা হয় তাদের অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে জেলেদের কাছে তথ্য জানিয়ে ম্যাসেজ, কল ও ফেসবুকে ছবি বা ম্যাসেজ দিয়ে গতিবিধি এবং অভিযান শুরু ও শেষের লোকেশন জানিয়ে দেয়। যাতে অভিযানকে ফাকি দিয়ে মাছ শিকার চালিয়ে যেতে পারে। জেলেরাও কৌশল ব্যবহার করে ওই ফাকে জাল ফেলে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করে জালের স্থান চিহ্নিত করে রাখে এবং প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে দ্রুত জাল তুলে তীরে নিয়ে যায়।

অপরদিকে অবরোধকে লক্ষ করে জেলে পেশা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত জেলেরা বর্তমানে এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছে, সুযোগ পেলেই নদীতে নৌকা ও কারেন্ট জাল নিয়ে মাছ শিকার শুরু করে।

ইলিশা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সুজন পাল জানান, দিনরাত ২৪ ঘন্টা নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তারা নদীতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযানের এই আট দিনে এই পর্যন্ত ইলিশা নৌ-পুলিশ প্রায় ৪৩ জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের নৌ-পুলিশের টহল অভিযান সবসময় তৎপর রয়েছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, চলতি অভিযানের আট দিনে ৫ লক্ষ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ৯২ জন ইলিশ শিকারীকে ভ্রাম্যমান আদলতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত আড়াই হাজার মেট্রিক টন ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ কামাল হোসেন জানান, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিধনরোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মৎস্য শিকারীদের জেল দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশের অব্যাহত এ অভিযান আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বলে তিনি জানান।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net